মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল উয়েই ফেঙ্গহি এ আগ্রহের কথা জানান।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীন কাজ করে যাচ্ছে। বৈঠকের পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন বাসসকে এ কথা বলেন।
বঙ্গভবনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, চীন বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের ভিডিও বার্তার কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিজের এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানান।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি সফররত মন্ত্রীকে বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ গবেষণা এবং করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে যৌথ উদ্যেগে আগ্রহী”।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সুসম্পর্ক বজায় থাকায় আবদুল হামিদ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য চীনের প্রতি তাঁর আহবান পূনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চীন এ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সম্পর্ক আসছে দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সে দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেনেন্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দীন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: