ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কলেজ ছাত্র হাফেজ রোকন হত্যার ২৫ দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা এলাকায় ঘোরা ফেরা করছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। আসামীরা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রয়েছে সক্রিয়। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ৬ আসামীর কেও গ্রেফতার না হওয়ায় নিহত রোকনের পরিবার হতাশ। তবে পুলিশ বলছে আসামীরা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র রোকন গত ২৮ মার্চ ছুরিকাঘাতে খুন হন। মামলার বাদী নিহত রোকনের পিতা আব্দুর রশিদ মোল্লা একজন আনসার ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডার। তিনি সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করে জানান, আমার ভাই শহিদুল ইসলাম ঘটনার দিন বাড়িতে গোয়ালঘরের খুটি পুতছিলেন। এতে বাধা দেন চাচাতো ভাই বাদশা মোল্লা ও তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিলু। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ দেখে আমার ছেলে রোকন জমির কাগজ দেখে বিষয়টি মিমাংশা করার প্রস্তাব দেন। এতেই ক্ষুদ্ধ হয় বাদশা মোল্লা ও তার ছেলে।
২৮ মার্চ সকালে মাঠে যায় রোকন। এ সময় আসামী সিরাজুল ইসলাম শিলু, তার পিতা বাদশা মোল্লা, কিবরিয়া, তিতুমীর, তুর্কি ও জিল্লুর রহমান রোকনকে পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্য দিবালকে হত্যা করে। রশিদ মোল্লার ভাষ্যমতে তার সঙ্গে আসামীদের কোন বিরোধ ছিল না। ছেলের অপরাধ ছিল জমির কাগজ দেখাতে বলা। ঘটনার দিনই ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা করেন আব্দুল রশিদ মোল্লা। এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা হাজেরা বেগম। তার কান্না যেন থামছেই না। ছেলেটি ছিল কোরআনের হাফেজ। রমজান মাসের কত স্মৃতি হাতড়ে ফিরছেন মা হাজেরা বেগম।
২৫ দিনেও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারটি হতাশ হয়ে পড়েছে। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকূপা থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, আসামীদের ফোন অনুসন্ধান করে অনেক স্থানে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ঘন ঘন লোকেশন বদলানোর কারণে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের কোন গফলতি নেই। প্রতিদিন আমরা শেখপাড়ায় অভিযান চালাচ্ছি। তিনি বলেন, পুলিশ আসামীদের তথ্য সংগ্রহ করে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: