-2021-10-15-12-20-54.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও বাংলাদেশ ছাত্র-যুব-শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী এবং কয়েকজন রাজনীতিকের অংশগ্রহণে আত্মপ্রকাশ করছে নতুন রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ। আগামী ২০ অক্টোবর ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই দলটি সামনে আসবে। প্রশাসনের অনুমতি পেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন বা পরিস্থিতি সাপেক্ষে সংগঠনের অফিস থেকেও ঘোষণা আসতে পারে। প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বাংলা জানান, আমরা অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। এখন যদি তারা পারমিট না করেন আমরা বিকল্প পন্থায় যাবো। প্রয়োজনে আমাদের অফিসেও হতে পারে।
গত ১৩ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতি ‘অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে’ শীর্ষক নিবেদনে বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশ ছাত্র-যুব-শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আগামী ২০/১০/২০২১ তারিখ রোজ বুধবার, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজন করতে যাচ্ছি।’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও সফল করতে ডিএমপি পুলিশের নিরাপত্তা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেছেন নুরুল হক।
নতুন এই দলের চার মূলনীতি আর ১৮ বা ২১ দফা কর্মসূচি আসবে। এ বিষয়ে নুরুল হক জানান, আমাদের দলের মূল নীতি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, জাতীয় স্বার্থ ও অধিকার। গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, জলবায়ু, প্রাণ প্রকৃতি, টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাবও তুলে ধরব।
জাতীয় নেতাদের বিষয়ে নতুন এই দলের অবস্থান দলমত নির্বিশেষে মূল্যায়নধর্মী। নুরুল হকের মন্তব্য, আমাদের মুক্তি সংগ্রামে, বাংলাদেশের জন্য এ পর্যন্ত যারাই আত্মবলিদান করেছেন তাদের সবাইকেই দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রাপ্য মর্যাদার বিষয়টি থাকবে। এদেশের মুক্তিকামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখযোগ্য। এরপর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ জাতীয় নেতারা।
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সূত্র জানায়, নতুন দলের সম্ভাব্য মুখ্য নেতা নুরুল হক নুর। প্রাথমিক আহ্বায়ক কমিটি হবে ১০১ বা ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট। পাশাপাশি ১৫-২০ সদস্যের নীতিনির্ধারণী ফোরামও থাকবে। এরই মধ্যে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আরো কয়েকজন যোগ দিতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথা জানালেও কারও নাম বলতে রাজি হননি নুরুল হক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: