স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আজ পরীক্ষামূলকভাবে স্কুলগামী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারে টিকা প্রয়োগ শুরু হলো। আমাদের হাতে ৬০ লাখ টিকা আছে যার মধ্যে আমরা প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দেব।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে টিকা দেয়া। তারপর আরেকটি স্বপ্ন ছিলো শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
তিনি বলেন, আমেরিকার তৈরি নিরাপদ একটি টিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। খোদ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা খুবই নিরাপদ। আগামীতে শিক্ষার্থীদের এক কোটি টিকা দিতে পারবো। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাদের এই উদ্বিগ্ন নিরসন করতে টিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই টিকাদান কর্মসূচি পরবর্তী সময় দেশের ২১টি স্থানে শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। রাজধানীতে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মর্সূচি শুরু করা হবে। করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতেই এই টিকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেছেন, দেশে এক কোটি শিশু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: