২০১২ সালে মারা গিয়েছিলেন নেত্রকোনার আব্দুল আওয়াল। আজ ৯ বছর পর আবারও জীবিত হিসেবে ফিরে এলেন। পেলেন জীবিত থাকার স্বীকৃতিও। এতে আব্দুল আওয়ালসহ এলাকাবাসীর মধ্যে খুশির বন্য বইছে।
বিষয়টি রূপকথার গল্প বলে মনে হলেও ৯ বছর ঘুরেও জীবিত হতে পারেনি আওয়াল। ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে আব্দুল আওয়ালকে মৃত উল্লেখ করা হয়। এ কারণে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন আব্দুল আওয়াল। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য করোনার টিকা পর্যন্ত দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে খুবই দুর্বিষহ দিন অতিবাহিত করছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে আওয়ালের এই অসহায়ত্ব নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানাজানি হয়। টনক নড়ে নির্বাচন অফিসের। এরপরেই আব্দুল আওয়ালকে জীবিত থাকার স্বীকৃতি প্রদান করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।
বুধবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হামিদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, আব্দুল আওয়ালের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় দ্রুত নির্বাচন অফিস বর্তমান ভোটার আইডি নম্বরটি সংশোধন করে জটিলতা অবসান করেন।
আব্দুল আওয়াল পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি। মদন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার করোনা বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক।
আওয়ালের ভাই হোসাইন আহমেদ পরাগ বলেন, আমরা আজ খুব খুশি। অবশেষে আমার ভাই আজ মৃত থেকে জীবিত হওয়ার আইডি নম্বরটি পেল।
আব্দুল আওয়াল বলেন, আমি এই মাত্র উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কাগজটি সংগ্রহ করেছি। এখন থেকে আর আমি যে মৃত একথা আর বহন করতে হবে না। কাগজটি পেয়ে আমি খুবই খুশি। তবে আমাকে যারা ভোটার আইডিতে জীবিত থেকে মৃত বানিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিচারের দাবি করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: