বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ৩২ জেলের মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের ১২ জনের সন্ধান মিলেছে। তবে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এফবি আবদুল্লাহর ২০ জেলে।
শনিবার (২অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ১২ জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলার পাথরঘাট বিএফডিসি মৎস্যঘাটে পৌঁছায়। ফিরে আসা জেলেরা সবাই অসুস্থ, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরি জানান, জেলেসহ ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে আশ্রয় নিতে গিয়ে সুন্দরবনের চরে উঠে যায়। ফলে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখান থেকে জেলেরা শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাগরে ফিরে নেটওয়ার্ক পেয়ে মুঠোফোনে ট্রলারের মালিক আবদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের ফিরে আসা জেলেরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহ জাহান, ছত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম, বড় টেংরা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ফুল মিয়া।
ট্রলার মালিক আবদুর রহমান জানান, জেলেরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাট থেকে অন্যান্য ট্রলারের সঙ্গে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা করে মায়ের দোয়া ট্রলার। কিন্তু ঝড়ের কবলে পড়ে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মালিক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের। এ কারণে ট্রলার মালিক আবদুর রহমান তাদের মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানান। অবশেষে ছয়দিন পর শনিবার জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের সন্ধান মেলে।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন ও সুন্দরবনের দুবলাচরের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, তাদের টহল বোট অনুসন্ধান করছে। কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে।
এদিকে, ১২ জেলে ফিরে আসার খবরে স্বজনের মনের দুশ্চিন্তা কমলেও আহাজারি করছে এফবি আবদুল্লাহ ট্রালারে থাকা শ্রমিকদের পরিবার। এই ট্রলারের সব শ্রমিকের বাড়ি নোয়াখালীর আলেকজান্ডার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: