মেট্রোরেল প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ ।
গতকাল সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে পল্লবী এলাকা থেকে মো. আশিক (১৯) ও মো. হারুন (৪০) নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক জানান।
তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ চোরাই মালামালসহ একটি পিকআপ ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।’
র্যাব বলছে, নাজমুল ও হারুন একটি ‘সংঘবদ্ধ চোর চক্রের’ সদস্য, যারা রাজধানীর বড় বড় প্রকল্পগুলো থেকে মালামাল চুরি করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর তুরাগ এলাকায় বৈদ্যুতিক তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায় নাজমুল নামের ১৯ বছর বয়সী এক যুবক। তার খোঁজ না পেয়ে পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তার বাবা। ১ সপ্তাহ পর তিনি তুরাগে মারা যাওয়া নাজমুলের লাশ শনাক্ত করেন এবং তুরাগ থানায় একটি অপমুত্যু মামলা করা হয়।
ওই ঘটনার পর র্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তুরাগে তার চুরি করতে গিয়ে নাজমুল যখন মারা যায়, আশিকও সেখানে ছিল।’
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, তারা ৩ জনই ওই চোর চক্রের সদস্য। রাসেল ও শামীম নামে আরও ২ জন রয়েছে তাদের চক্রে, যাদের আমরা খুঁজছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীম বাড়ি থেকে নাজমুলকে ডেকে নিয়ে যান এবং আশিকও তাদের সাথে চুরিতে ছিলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাজমুল মারা গেলে তাকে ফেলেই বাকিরা চলে যায়।’
‘এই চক্রটি বেশ কিছু দিন ধরে মেট্রোরেলের মালামালসহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের ইস্পাত, বৈদ্যুতিক তার ও যন্ত্রপাতি চুরি করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন ও আশিক তা স্বীকার করেছে।’
মোজাম্মল হক বলেন, ‘এই চক্র চোরাই মালামাল তাদের পরিচিত ক্রেতাদের কাছে একটি নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করে আসছিল বলে তারা জানিয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: