বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার লক্ষণ, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ।
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক প্রতিবেদক সমিতি আয়োজিত ডিক্যাব টকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়া একটি বড় উদ্বেগ। কিন্তু ,গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি দেশের জন্য এটি ভালো কিছু নয়।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পর্যালোচনা পরিস্থিতি উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অতিমারি করোনাভাইরাস বৈষম্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও জেন্ডার বৈষম্যের চ্যালেঞ্জকে বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশ যখন এলডিসি মর্যাদা লাভ করবে, তখন সুযোগ থাকবে। কিন্তু, বৈষম্যের চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ খুব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
মিয়া সেপ্পো সাংবাদিকদের বলেন জাতিসংঘ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য কার্যক্রম শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে কীভাবে কার্যকরভাবে কাজ করা যায়, সেই বিষয়ে জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই ভাসানচরে কর্মরত বাংলাদেশি এনজিওগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
ভাসানচরকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করেছে কিন্তু, এ ব্যাপারে নেতিবাচক প্রচারণা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: