বাংলাদেশ মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আফগানিস্তানে খাদ্য ও ওষুধ পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, এসবের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধক সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জামও পাঠাবো আমরা।
মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান পরিস্থিতি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্থিতিশীল আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত মঙ্গলবার রাতে একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা খুশি মনেই কাবুলে মৌলিক খাদ্যসামগ্রী ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পাঠিয়ে তাদের সহায়তা করতে পারি। এই কোভিড মহামারির সময়ে আমরা পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট, মাস্ক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সামগ্রী দিতে চাই।
তালেবানের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন আফগানিস্তানকে কীভাবে সহায়তা করা যায় ছয় ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশ সেটি তুলে ধরেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। ক্রমেই তা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রতি তিনজন আফগান নাগরিকের একজন অভুক্ত অবস্থায় আছেন এবং প্রায় ২০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে আফগানিস্তানে খাদ্য ও ওষুধ পাঠাতে এবং জাতিসংঘের যেকোনো উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অংশীদার হতে চায়। মৌলিক স্বাস্থ্য, শিশু স্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, আইসিটি, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অংশীদার হতে চায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: