রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় প্রবহমান পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১০ মণ ওজনের একটি বিশাল ‘শাপলা পাতা’ মাছ। মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে প্রায় দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে।
রোববার ভোরে পদ্মার দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাট এলাকায় স্থানীয় জেলে বাবু সরদারের জালে শাপলা পাতা মাছটি ধরা পড়ে।
নদীর এ এলাকায় এতদিন বড় বড় পাঙ্গাশ, বাগাড়, কাতল, রুই, আইড়, বোয়ালসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও এতবড় শাপলা মাছ এই প্রথম। বিশালকৃতির এই মাছটি দেখার জন্য ঘাট এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায়।
জানা গেছে, জেলে বাবু সরদার সকালে একটি ভ্যানে করে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন একতা মৎস্য আড়তে নিয়ে যান। আড়তদার রেজাউল মাছটি বিক্রির জন্য উন্মুক্ত নিলামে তুললে রাজবাড়ীর মাছ ব্যবসায়ী কুটি মণ্ডল সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা মণ দরে ৮০ হাজার টাকায় দিয়ে কিনে নেন। মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে প্রায় দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে জানা গেছে।
জেলে বাবু সরদার বলেন, আমরা সাধারণত ট্রলারে পদ্মায় বড় মাছ ধরতে যাই। কট সুতার জালে বড় এই মাছটি ধরা পড়ে। কিন্তু হঠাৎ করে বিরল প্রজাতির এই মাছটি ধরা পড়াতে আমরা খুশি হই। তবে জালে আটকানোর পরে মাছটি বেশি লাফালাফি করেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাছটি ডাঙ্গায় তুলতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে দৌলতদিয়ার স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম (রাজ) বলেন, পদ্মায় নদীতে প্রায় ১৫ বছর আগে একবার শাপলা পাতা মাছ পাওয়া গিয়েছিল। এটি সাধারণত মাটির ছুঁই ছুঁই করে পথ চলে। যে কারণে সহজে জালে ধরা পড়ে না। হয়তো পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে মাটি থেকে ওপরের দিকে এসেছে। যে কারণে জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকতা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, শাপলা পাতা মাছ সাধারণত সমুদ্র এলাকায় পাওয়া যায়। তবে অভ্যন্তরীণ নদীতেও কালেভদ্রে পাওয়া যায়। এ মাছ খেতে খুব সুস্বাদু। নদীর এ এলাকায় এতদিন বড় বড় পাঙ্গাশ, বাগাড়, কাতল, রুই, আইড়, বোয়ালসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও এতবড় শাপলা মাছ আমার দেখা এই প্রথম।
তবে এসব বড় মাছগুলোর জন্য অভয়াশ্রম করা গেলে সেগুলো নদীতে সহজে বংশ বিস্তার করতে পারত।আমরা পদ্মা নদীর এ এলাকায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: