বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক ও সমার্থক। তার জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না।
বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি কাঙ্খিত স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে শোষন-বঞ্চনা থেকে মুক্তির সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু আরম্ভ করলেও ঘাতকরা তাকে তা শেষ করতে দেয়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে জনগণের প্রকৃত মুক্তির পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুদকের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কমিশনের প্রায় তিন শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো দুর্নীতি। আজ আমরা শপথ নেই দুর্নীতি মুক্ত, শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার। সব প্রকার সামাজিক ব্যবধান দূর করে আমাদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সততা ও ঈমানদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ ও মুক্তির সংগ্রাম বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের ঋণ শোধ করার এটিই অন্যতম পন্থা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো মোজাম্মেল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন এক বিশাল ও অনন্য চরিত্রের মানুষ। তার বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের চার ভাগের এক ভাগ তিনি জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ছিল অকল্পনীয়। যার নমুনা হিসেবে আমরা দেখতে পাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার আগেই তিনি বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা উপাধি লাভ করেন। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার অসীম সাহস ও চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণেই ফিদেল কাস্ত্রো তাকে তুলনা করেছিলেন হিমালয়ের সঙ্গে।
দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রশ্ন রেখেছিলেন, অফিসাররা কেন ঘুষ খায়, কৃষকরা তো খায় না? আমাদের দেশে এখন অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির মাধ্যমে কিছু টাকা পাচার হয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়। উন্নয়নের পুরো সুফল পেতে হলে আমাদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে।
দুদকের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব তথা গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমাজতন্ত্র, সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ তথা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জীবিত সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: