টানা কঠোর লকডাউনের ১৯ দিন পর সড়কে আবারও গণপরিবহন চালু হলো। এবার আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শিথিলের পর বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করে। এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলে সবশেষ ২২ জুলাই সড়কে গণপরিবহন চলেছিল।
এর আগে গত রোববার (৮ আগস্ট) বিধিনিষেধ শিথিলের প্রজ্ঞাপনে সরকার জানায়, গণপরিবহনের শতভাগ আসনে যাত্রী বহন করা যাবে। তবে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক গাড়ি সড়কে নামানো যাবে।
এদিকে, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)৷
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। দাঁড়িয়ে নেয়া যাবে না কোনো যাত্রী। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
২. আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলবে। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আর প্রযোজ্য হবে না। কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না অতিরিক্ত ভাড়া।
৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার-ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য রাখতে হবে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে যানবাহনের মালিকদের।
৫. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহার থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: