লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক -মহাসড়কে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা যায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাত দিনের ঢিলেঢালা লকডাউন শেষ হচ্ছে রোববার। বুধবার থেকে এক সপ্তাহ ‘সর্বাত্মক লকাডাউন’ থাকবে বলে এরইমধ্যে ঘোষণা এসেছে। ঢিলেঢালা লকডাউন শেষ ও সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর মাঝের দু’দিন অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার কী হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ওই দুই দিন ট্রেন, লঞ্চ, দূরপাল্লার বাস এবং স্বল্প দূরত্বের গণপরিবহন চলবে কি না তা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, রোববার প্রজ্ঞাপন জারির পর স্পষ্ট হবে পরের দু’দিন গণপরিবহন চলবে কিনা। এখনও সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করে গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি হয়। রোববার রাত ১২টায় এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। তবে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে লকডাউনের মধ্যে শুধু মহানগর এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও নগর পরিবহনের অন্যান্য বাস।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, যদি সরকার অনুমতি দেয় তবে দু’দিন বাস চালাবেন মালিকরা। আর অনুমতি না দিলে এখন যেমন বন্ধ আছে, তেমনই থাকবে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লকডাউন শুরুর আগের দিন অর্থাৎ গত রোববার 'ঈদের ছুটি'র মতো মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ কারণে গ্রামেও করোনা ছড়াচ্ছে। আগামী বুধবার ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর আগে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলার অনুমতি দিলে এবারও গ্রামমুখী মানুষের ঢল নামতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার ট্রেন চলবে কিনা তা নিশ্চিত নয় রেলওয়ে বিভাগও। এ বিষয়ে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাৎ হোসেন বলেন, রোববার প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর বলা যাবে ট্রেন চলবে কী চলবে না। যদি সরকার অনুমতি দেয় তবে সোমবার ও মঙ্গলবার ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে। অনুমতি না দিলে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধই থাকবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: