মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,আমার একটি প্রস্তাব হলো- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন বা ভ্যাকসিন প্রদানের ওপর ডিপেন্ড করবে আরোপিত বিধিনিষেধ কার্যক্রম বর্ধিত করবেন কিনা।
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যেখানে ভ্যাকসিনেশন ৭০ বা ৮০ শতাংশ দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সম্প্রতি ইউরো কাপের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি ইউরো কাপে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে গ্যালারিতে খেলা দেখেছে। সেখানে কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ তাদের ওখানে ৭০ বা ৮০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন দেওয়া হয়েছে। এখানে ভ্যাকসিন যদি ৮০ শতাংশ দেওয়া যায় এবং মাস্ক যদি সবাই পরে তাহলে আমরা মোটামুটি একটা ভালো অবস্থা তৈরি হবে।
পলক বলেন, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলতে হবে যে, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে উনারা প্রতিদিন দুই লাখ ভ্যাকসিনেশনকে ১০ লাখে উন্নীত করতে পারবেন কিনা? এটার ওপর ডিপেন্ড করবে আপনি বিধিনিষেধ তুলবেন কিনা?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই করা হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের লকডাউনের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গত ১৩ জুলাই জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: