যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ঘিরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বেলা বাড়ার সাথে সাথে বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম পাশে রাস্তায়, নাইটেংগেল, দৈনিক বাংলা মোড় ও পল্টন মোড়ে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি এলামুল হক মিঠু বলেন, বরাবরের মতো আজও জুমার নামাজ ঘিরে বায়তুল মোকাররমে রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটাতে না পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে এডিসি মিঠু বলেন, বিষয়টি এমন নয়। বরাবরের থেকে আজ আরও কম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সবাই যেনো সুশৃঙ্খল ভাবে নামাজ আদায় করে বাসায় যেতে পারেন এ কারণেই এই ব্যবস্থা।
গত তিন শুক্রবার বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জুমার নামাজ শেষে সহিংসতা দেখা গেছে। ২ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী কর্মসূচি ও হরতালে সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।
এর আগের শুক্রবার ২৬ মার্চ জুমার নামাজ শেষে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সংঘর্ষ চলে।
এ সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৯ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সহিংসতা ছড়ায় হেফাজতে ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। মোদির সফর প্রতিহত করতে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ করে তারা।
বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ বলেছিল- যদি মোদিকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা সবাই সন্ত্রাসে পরিণত হব। বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালেবান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: