নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. মাসুদ (২৭) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শনিবার দুপুরে ফতুল্লার পাগলার নয়ামাটি মুসলিম পাড়া লাবণি জুস কারখানার সামনের রাস্তায় খুনের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মাসুদ পাগলা নয়ামাটি পশ্চিম পাড়ার রুহুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল (২০) ও তার পিতা আইয়ুব আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে। সোহেলের নিকট থেকে খুনে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ঘটনার সময় ধারণ হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ফুটেজে দেখা যায়, ১৫/২০ জন কিশোর সন্ত্রাসী এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। তাদের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় এরা কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। এই গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল গ্রেপ্তারকৃত সোহেল।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মাসুদের ছোট ভাই শাওন ও ঘাতক সোহেল দুজন বন্ধু ছিল। দেড় মাস পূর্বে নিহত শাওন ঘাতক সোহেলের নিকট থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা চাইতে গেলে ঈদের আগের রাতে সোহেলকে চর-থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয় নিহত মাসুদ। এ ঘটনার জের ধরেই শনিবার দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহেল ও তার সহযোগীরা মাসুদকে খুন করে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থল থেকে আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। বিস্তারিত তদন্ত করে জানা যাবে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে সোহেল ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে মাসুদকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে এবং একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: