রাজধানীর দুই সিটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মিলে প্রায় নয় লাখ গরু কোরবানি দেওয়া হবে। বুধবার (২১ জুলাই)ঈদুল আজহাসহ আগামী ৩ দিনের হিসেব করে এমন তথ্য জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, উত্তর সিটিতে প্রায় তিন লাখ এবং দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ছয় লাখ গরু কোরবানি হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, উত্তর সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় তিন লাখ গরু কোরবানি দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ছাগল কোরবানি হতে পারে আরও দেড় লাখের মতো।
আর উত্তর সিটিতে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং পশুর হাটগুলো দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে করপোরেশনের নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং থেকে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত থাকবে।ডিএনসিসির ১১ হাজার ৫০৮ ও ডিএসসিসির প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের দিন থেকে বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)' র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিগত বছরগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক হিসাবে দক্ষিণ সিটিতে এবার পশু কোরবানির কিছুটা কম হতে পারে। করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে ছয় লাখের মতো গরু কোরবানি হবে। দক্ষিণে গরুর পাশাপাশি ছাগলসহ অন্য আরও আড়াই থেকে তিন লাখ পশু কোরবানি হবে।
দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকা ও পশুর হাটগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে তদারকের জন্য ১০টি দল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ সিটিতে ৯০টি খোলা ট্রাক, ৫৩টি কম্পেক্টর, ১২টি পানির গাড়ি, ১০২টি ডাম্প ট্রাক, ১৪টি পে-লোডার, ৮১টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ৯টি টায়ার ডোজার, ২টি ট্রেইলার, ৯টি স্কিড লোডারসহ প্রায় পৌনে ৪০০ যান-যন্ত্রপাতি মাঠপর্যায়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: