কোরবানির পশু ও পশুর হাটগুলোর বর্জ্য মাঠ পর্যায়ে তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (১৯ জুলাই) ডিএসসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কর্পোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে।
কর্পোরেশনের আওতাধীন যেকোনো নাগরিক তার নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য সম্পর্কিত তথ্য পাঠানো বা পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সুরাহার জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।
তিন শিফটে ১৮ জুলাই দুপুর ২টা থেকে ২৪ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্পোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
পাশাপাশি ৯০টি খোলা ট্রাক, ৫৩টি কম্পেক্টর, ১২টি পানির পানির গাড়ি, ১০২টি ডাম্প ট্রাক, ১৪টি পে-লোডার, ৮১টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ৯টি টায়ার ডোজার, ২টি ট্রেইলার, ৯টি স্কিড লোডারসহ প্রায় পৌনে ৪০০ যান-যন্ত্রপাতি মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকবে।
এছাড়া নিয়মিত ৫ হাজার কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরো ৫ হাজার কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত থাকবে। ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রতি কাউন্সিলরকে ১ হাজার করে এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে ১ হাজার ৫০০ টি পরিবেশবান্ধব ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। যারা কোরবানি করবেন তাদের মাঝে এসব ব্যাগ বিতরণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সেসব ব্যাগে মধ্যে ভরে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্পোরেশনের নির্ধারিত ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করবেন।
পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৩০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: