রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে রাজধানীবাসী। লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর—সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এতে লাখো মানুষের চাপ পড়ে ঢাকার সড়কে। গতকালের মতো আজও ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অব্যাহত আছে দীর্ঘ যানজট। মহাসড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
মঙ্গলবার (২০জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইল বাইপাস সড়ক থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২৫ কি.মি. গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজট।সকালে সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ১২০টি লঞ্চ। তবে, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে ৬টি লঞ্চের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিআইডব্লিটিএ।
হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা। আর এ পরিস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে মহামারি চলছে।
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে বাস টার্মিনালে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বাস কাউন্টারগুলোতে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পাশাপাশি আসনে যাত্রী না বসানোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না।
আন্ত নগর ট্রেনের ছবি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও লোকাল ট্রেনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ঢাকার বাইরে চলাচল করা লোকাল ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। কমলাপুর থেকে কমিউটার ট্রেনগুলোর সব আসনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের চাপ শেষ বেলায় ঢাকার সীমানা এলাকায়ও পড়েছে। ফলে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দুপুরের পর থেকে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। সড়কের ভোগান্তি বিমানেও ঠেকে। অনেক বিমানই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছে। তবু ট্রেন ও বিমানযাত্রার সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেনি। আর পুরো ঈদ যাত্রায় কোথাও করোনা স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানতে দেখা যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: