গরুর খামারিদের স্বার্থরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কোরবানির গরু গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সরকার সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে।
চলমান বিধিনিষেধ পরিস্থিতিতে কোরবানির বাজার প্রসঙ্গ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশীয় খামারিরা নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একটি সহনশীল বাজার তৈরি করেছেন। গত কয়েক বছরে দাম এবং সরবরাহ যথার্থ আছে বলেই লক্ষ্য করা গেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অন্য দেশ থেকে গবাদিপশু আমদানি না করা। সরকার খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় পশু আমদানি বন্ধ রেখেছে।’
সীমান্ত দিয়ে যাতে গবাদিপশু আসতে না পারে সে বিষয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর সীমান্ত দিয়ে গরু আসেনি। এতে দেশের খামারিরা লাভবান হয়েছেন। এটি করতে না পারলে খামারিরা লোকসান গুনতো। এর আগের বছরগুলোতে যেমনটি হয়েছে। সমন্বয় ছিল না, বাজার অস্থির ছিল। কোরবানির গরু বিক্রি না করতে পেরে খামারিরা চোখের জল ফেলেছে।’
আমদানি না করায় গরুর মাংসের দাম বেশি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই অভিযোগ অসত্য, বরং বাজার এখন স্থিতিশীল। বর্ডার দিয়ে গরু আসায় বাজার অস্থির থাকত। এটি কেটে গেছে। দেশে প্রচুর খামার তৈরি হয়েছে। এ খামার ঘিরে শিল্প এবং কর্মসংস্থানের বিকাশ ঘটছে। তাছাড়া পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মাংসের দাম কম। খামারিরা দেশের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সরকার দেশের স্বার্থ আগে দেখছে।’
এবার কোরবানির হাট বসছে না, এতে খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘হাট বসছে না, এ কথা ঠিক নয়। খোলা মাঠে হাট বসছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু বেচাকেনা হবে। বাড়িতে বসেই (অনলাইনে) মানুষ গরু কিনতে পারছে। এটি তো গত বছরও হয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থায়ও গরু বেচাকেনা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’
করোনার দুই বছরেও সরকার সঠিক বিকল্প বাজার গড়ে তুলতে পারেনি, এমন একটা অভিযোগ আছে-এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প বাজার কেন গড়ে উঠল না, তার সঙ্গে আমার মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত নয়। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে কৃষকের পণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনও কাজ করছে। চলমান সংকট কেটে যাবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: