ভাইরাল হওয়া ইয়াবা সেবনের ভিডিও'র ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সুপারিশ করেছেন ইউএনও মোঃ যোবায়ের হোসেন।
গত ৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি, ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবরেটারিতে পাঠানো ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করে ইউএনওকে একটি প্রতিবেদন দেয় আইটি ফরেনসিক শাখা সিআইডি। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ইউএনও যোবায়ের হোসেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবরে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে গত ১৫ জুন ২০২১ ইং তারিখে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন।
ইউএনওর লিখিত প্রতিবেদনটির ০৫.০৫.৯৪০৮.০০০.০০.০৩৩.২১-৫২৮ স্বারক নম্বরে উল্লেখ করা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৫নং দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে সহযোগীদের নিয়ে জুয়া ও মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হলে ইউএনওকে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন। পরে কয়েক দফায় ইউএনও প্রতিবেদনও দাখিল করেন। কিন্তু তাতে সু-স্পস্ট মন্তব্য না থাকায় আবারো প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
এসময় ভাইরাল হওয়া ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি কাট ছাটের অভিযোগ করেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম। পরবর্তিতে ভিডিওটি কাট ছাট করা হয়েছে কি না তা যাচাইয়ে গত ৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি, ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবরেটারিতে পাঠান ইউএনও যোবায়ের হোসেন।
সবশেষ ঢাকা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটারিতে ভিডিওটি পরীক্ষার পর সত্যতার প্রমাণ মিলে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভিডিওটিতে কোন রকম কাট ছাট নেই উল্লেখ করে গত ১ জুন সিআইডি কর্তৃপক্ষ ইউএনও বরাবরে একটি প্রতিবেদন দিলে ইউএনও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবরে প্রতিবেদন জমা দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার এর উপ-পরিচালক রামকৃষ্ণ বর্মণ জানান ইউএনও'র প্রতিবেদনের উপর ভিক্তি করে দ্রুতই পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: