টিকা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কতৃক আয়োজিত ‘সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসান মাহমুদ বলেন, টিকা যখন প্রথম দেশে আসলো বিএনপি বিরোধিতা করেছে। এই টিকা যেন মানুষ না নেয়। বিএনপির সিনিয়র নেতারাও অপপ্রচার চালিয়েছে। আবার এখন গোপনে তারা টিকা নিচ্ছে। এখন তারা টিকা নিয়ে প্রকাশে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে, টিকা নিয়ে স্বস্তিবোধ করছি। তবে এখন টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করছে এবং বৈদেশিক শাখা থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বাংলাদেশ যেন টিকা না পায়। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। টিকা আসছে আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালোভাবে ও সক্ষমভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি। আপনারা ভারতের দিকে তাকান পাকিস্তানের দিকে তাকান সেই তুলনায় আমরা ভালো করেছি। অনেক দেশ যখন টিকা পায়নি, সেই সময় থেকে আমরা টিকা দেওয়া শুরু করেছি। মাঝখানে ভারতে করোনা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার কারণে সেরাম থেকে টিকা পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকার অনেক আগে থেকেই অন্যান্য দেশ থেকেই টিকা আনার চেষ্টা করছিল এজন্য টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। আজকে চীন থেকে আমেরিকা থেকে টিকা আসছে এবং রাশিয়া থেকেও আসবে। এমনকি আমরা নিজেরাও টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের সরকারের পক্ষ থেকে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন দেশে না আসেন এজন্য অনেক খবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি অটল ছিলেন, যেদিন তিনি দেশে ফিরে আসেন লাখ লাখ লোক তাকে গ্রহণ করার জন্য সমবেত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ৪০ বছরের পথ চলার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। এই পথ চলায় প্রমাণ করেছেন তিনি সময়ের সাহসী সন্তান শুধু নয় মৃত্যুকে উপেক্ষা করে যে কোন ঝুঁকি তিনি নিতে পারেন। যখন প্রচণ্ড ষড়যন্ত্র হয়, প্রচণ্ড দুর্যোগ হয় তখন তিনি ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সে কারণে তার প্রতিপক্ষ আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন , জিয়া, খালেদা, সাত্তার সাহেব ও সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাজেট প্রণয়নের আগে প্যারিসে দাতা গোষ্ঠীর কাছে সাহায্যের জন্য যেত কিন্তু এখন আমরা যাই না। পদ্মা সেতুতে তারা সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন পরে ফিরিয়ে নিল দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে। পরে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা সাহায্য নেই না বরং সাহায্য দেই। শ্রীলংকাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ১০ বছর মেয়াদি ঋণ দিয়েছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। সম্প্রতি ভারতকেও ছাড়িয়ে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোর্দ্দার, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহসহ আরও অনেকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: