লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়—এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের বাইরে শুধুমাত্র শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন।
শনিবার বেইলি রোডের বাসা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এরপর গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন করা হতে পারে। সেখানে সব বিষয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপাতত সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হলেও লকডাউনের শেষের দিকে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আশা করছি, এই সাত দিন মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতে পারলে সংক্রমণ রোধ করতে পারব। না নয় সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাবে। মানুষের নানা বিষয় আছে, সেগুলো সাত দিন লকডাউনের শেষের দিকে বিবেচনা করব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আপাতত সাত দিন থাকবে।’
এদিকে শনিবার (আজ) দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন থাকবে।
এর আগে ২৯ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: