বিরোধী দলের সাংসদদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, “কারা অর্থপাচার করে তাদের নাম যদি আপনারা জেনে থাকেন তবে আমাদের জানান। আমাদের মতো এই সংসদে আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে, আপনারা যদি আমাদের সাহায্য করেন তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হয়ে যাবে।”
সোমবার (৭ জুন) ২০২১-২২ রাজস্ব বছরের বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জন্য মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, আর্থিক খাতে অনিয়মের ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আগামী এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন প্রণয়ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে গেলে আপনাদের মতো আমারও খারাপ লাগে। আমি সর্বদা যে কোনো পরিস্থিতিতে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই এবং আমাদের সরকারও এগুলো বন্ধ করতে চায়।”
মন্ত্রী বলেন, “এমন একটা সময় ছিলে যখন সিমেন্টের নাম করে বালু আসত। এক পণ্যের নাম করে আরেকটা পণ্য আসত। তবে এখন আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং খুব কমই হয়। তবে একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না। আমরা পত্রপত্রিকায় এমন খুব কমই দেখতে পাই।”
তিনি বলেন, “আমি জানি কীভাবে এগুলো হয়, তবে কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অকার্যকারী ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো হয়। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিতে নতুন নতুন আইন করা হবে।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: