ভূমিসেবা এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে। দেশের যে কোন স্থানে এমনকি বিদেশে থেকেও নিজের মোবাইল থেকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারবে সাধারণ জনগন। এই সেবা কার্যক্রমে প্রথম দিনেই হোল্ডিং রেজিষ্ট্রেশন করতে গ্রাহকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। একই সাথে অনলাইনে আবেদন করা সেবাগ্রহীতাদের নামজারীর খতিয়ান ও ডিসিআর প্রদান করা এবং কারেন্ট খাজনা নেয়া হচ্ছে।
“ভূমি সেবা ডিজিটাল, বদলে যাচ্ছে দিনকাল,” এই স্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার (৬ জুন) সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স রুমে সেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ। এরপর ভূমি কর ডিজিটালাইজেশন কার্যকরে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এসময় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার(ভূমি) কামরান হাসান সোহেল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার(ভূমি) সানজিদা পারভীন তিন্নি।
কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন ভূমি অফিসের প্রায় ৩৩ জন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা হাসান আহমেদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রুহিতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও রুহিতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের(ক্যাম্প) উপসহকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামসহ ইউডিসি উদ্যোক্তাগণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, সরকার ঘোষিত ৩০ জুন থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া বন্ধ হবে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন ভূমি অফিসের প্রায় ৩৩ জন ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। এজন্য সকল ভূমি মালিকদের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসার অনুরোধ রইলো। ভূমি সংক্রান্ত সেবা জনসাধারণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতেই সেবা সপ্তাহের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভূমি অফিস গুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: