কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
শনিবার বিকেলে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষায় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভেঙ্গে যায় শত শত ঘরবাড়ি। বিপর্যস্ত হয়ে পরে জনজীবন। এবছর নদী ভাঙ্গন রক্ষায় কলাতিয়া ইউনিয়নের জনসাধারণ নিজস্ব অর্থায়নে জিওমেট্রিক বালুর বস্তার ব্যবস্থা করেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছরই কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া, হযরতপুর, রুহিতপুর নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি। ২০২০ সালে ভাঙ্গন নিরসনে জিওমেট্রিক ব্যাগ দিয়ে প্রটেকশনের চেষ্টা করা হয়েছে। ভাঙ্গন নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এখানকার স্থানীয় নেতাকর্মীরা সমস্যাটি নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন। কিছুদিন আগে স্থায়ী সমাধানের জন্য বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যানকে নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপির সাথে ইতিমধ্যে আমার কথা হয়েছে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
এ সময় এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বহু বছর ধরে নদী ভাঙ্গনে তাদের ঘরবাড়ি ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জীবিকানির্বাহে চরম প্রভাব পরবে। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী সমাধানের জোর দাবি জানায় তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহের আলী, ঢাকা জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারেকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: