চাঁদপুরে ১৪ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এক মাদরাসা শিক্ষক।
তিনি বলেন, শয়তানের ফেরে পড়েই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছি। আমি ভুল করেছি; এবারের জন্য ক্ষমা করে দেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জেলার বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের এক মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩ মে) মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ গাজীকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের নেসার উদ্দিন গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী। ২০১৫ সালে তিনিই ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয় মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। চেষ্টা করেন টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অভিযুক্তকে বাঁচিয়ে দিতে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি দালাল চক্রের ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা শেষ পর্যন্ত পণ্ড হয়ে যায়।
ছাত্রীর সঙ্গে অপকর্মের ঘটনাটি শিক্ষক স্বীকার করেছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: