স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ জনসচেতনতা আর বাকি ১০ শতাংশ বিভিন্ন কারিগরি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। সারা বিশ্বে এটাই অনুসরণ করা হয়। আজকে ডিসিদের আমরা সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নানা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তার সব নেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন চলমান রয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ বছরের জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামেও এখন অনেক পাকা বাড়ি হয়েছে, সেখানে পানি জমে থাকার সুযোগ আছে। সেখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। নিয়ম হলো, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। ডিসিরা যেন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণসহ নানাবিধ কাজ করেন, সেটি বলেছি। এর আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের সঙ্গে এ বিষয়ে ভার্চুয়াল একটি সভা করেছি, সেখানেও অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের একটি সমন্বিত ফ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী পেতাম ১ শতাংশ, ঢাকায় পেতাম ৯৯ শতাংশ। গত বছর কিন্তু ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, সারা দেশে ৮০ শতাংশ রয়ে গেছে। ঢাকার মানুষ সচেতন হয়েছে, দায়িত্বশীল হয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছে। ডিসিদের বলেছি, তারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। দায়িত্ব অলরেডি বণ্টন করে দেওয়া আছে, তারা কাজগুলো হচ্ছে কিনা আমাদের রিপোর্ট করবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমরা জানুয়ারিতে সভা করেছি। গত বুধবার মিটিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য ওষুধ কিনতে ছয় কোটি টাকা আমরা পাস করে দিয়েছি। একদিনও বিলম্ব করা হয়নি। তারা এটা আমদানি করবে এখন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: