ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করায় বাংলাদেশ এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করায় বাংলাদেশে আঘাত হানার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্ষয়ক্ষতি যা হবার ভারতের অংশে হবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে ৩ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। এরইমধ্যে, জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সারা দেশে নদ-নদীগুলো উত্তাল থাক্লায় সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। ঢেউয়ের তোরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটের দুই নম্বর পন্টুন দুই ভাগ হয়ে নদীতে ভেসে গেছে। এছাড়াও ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভোলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ভারতের ওড়িশায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সকাল ১০টার দিকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণে আঘাত হানে ইয়াস। ঝড়ের তাণ্ডব আরও কয়েক ঘন্টা চলতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস। দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে দিঘা, মান্দারমনি, শঙ্করপুর, তাজপুরসহ অনেক এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে গেছে বাঁধ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অনেক গাড়ি। গাছ ভেঙে বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওড়িশার উপকূল থেকে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ এবং পশ্চিমবঙ্গে উপকূল থেকে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে গতকাল থেকেই জারি রয়েছে রেড এলার্ট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: