আরও ২ হাজার ১৯৬ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এবার দিয়ে ষষ্ঠ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হলো।
বৃহস্পতিবার (১লা এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ভাসনচরের উদ্দেশে রওনা হয় নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ। রাতে তাদের চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
এর আগে, গেল ৪ঠা মার্চ পঞ্চম দফায় নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজে করে ভাসানচর নেয়া হয় দুই হাজার ২৬০ রোহিঙ্গাকে। তারও আগে, গত ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন। আর গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন এবং ৪ঠা ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আগস্ট পরবর্তী সময়ে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এরও আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আরও ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের এদেশে সাময়িক অবস্থানের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ভাসানচরে গড়ে তোলা হয় বিশাল আশ্রয়ন প্রকল্প।
ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৪৪০টি ঘর এবং ১২০টি সাইক্লোন সেন্টারে থাকতে পারবেন ১ লাখ ১ হজার ৩৬০ জন রোহিঙ্গা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: