প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী থাকবে। আনসার এবং ভিডিপি সদস্যরা গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ১২ জন সদস্য থাকবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ সশন্ত্র অবস্থায় থাকবে।
এছাড়াও কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকবে। কেন্দ্রে যদি শুধু ১২ জন পুলিশ সদস্য থাকত, তাহলে প্রার্থীরা পুলিশকে হাত করতে পারবেন। কিন্তু কেন্দ্রে যদি ৫ বাহিনীর লোক থাকে, তাহলে কাউকে হাত করতে পারবেন না। কাজেই সেখানে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী থাকবে। কাজেই কেন্দ্রের বাহিরের যে অংশ, তা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর দিকে টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে নির্বাচন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেছি, ভিতরে যদি ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রিটানিং অফিসারের দায় নিতে হবে, সেটা লাগবে না। কারণ প্রিজাডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিবে। প্রয়োজনে রিটানিং অফিসারকেও খবর দিয়ে ভোট বন্ধ করে দিবে। ওই কেন্দ্রের ভোট আরেকবার নিব, আরেকবার নিব, আরেকবার নিব, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব।
সিইসি বলেন, প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছে না, বিষয়টি এমন না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্গন হচ্ছে, আমি অনেককেই বলেছি আপনারা প্রস্তুতি নেন। যে দিন ভোট গ্রহণ হবে, সে দিন আপনাদের (প্রার্থীদের) সতর্ক্য থাকবে হবে। কিছু কিছু আচরণবিধি, কে কার পোষ্টার ছিড়ে ফেলল, এটা ওটা নিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু এসব আপনাদের বিপর্যস্ত করবে না। কিন্তু ভোটের দিন কারচুপি করে ফেলতে পারি, তাহলে কিন্তু নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের ভিতরে দায়িত্বে থাকা পোলিং এজেন্টকে নিশ্চিত করতে হবে, ভিতরে কোন বা কারচুপি না হয়। এটা পোলিং এজেন্টদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই প্রার্থীদের নিজস্ব লোকদের পোলিং অফিসার হিসাবে দিতে হবে, এই পোলিং এজেন্ট তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেনের আচরণবিধি লঙ্গনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমন অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ঢালাও ভাবে বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বদলি করেছি, অভিযোগের ভিত্তিতেও বদলি করা হয়েছে।
ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যে কেন্দ্রেই যাক না কেন, খেলাটা হবে কিন্তু, প্রার্থীদের মাঝে ভোটের দিন। কেন্দ্রের ভিতরে কিন্তু, আইজি, ডিআইজি ডুকতে পারবে না। শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার কেন্দ্রে ডুকতে পারবে। প্রিজাইডিং অফিসার যদি কেন্দ্রে তার কতৃত্ব বজায় রাখতে পারে। তাহলে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিআইজি, কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, এসপি মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রমূখ।
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: