আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজের নিবন্ধন অথবা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগামী বছর হজে যাওয়ার অনিশ্চয়তা ও বিড়ম্বনা এড়ানোর স্বার্থে এই অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ১৬১ জন হজের নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সে হিসাবে মোট হজযাত্রীর ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ নিবন্ধন করেছেন। ৩১ ডিসেম্বর হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে। এ সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার জন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
চলতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। পরে প্রত্যাশিত হজযাত্রীর সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় ধাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
হজ এজেন্সি মালিকরা জানান, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, অনেকেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আর চলছে টানা অবরোধ ও হরতাল। বেশির ভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। অন্যদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হজ নিবন্ধন শুরু হয়েছিল, চলে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এবার সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনায় হজ চুক্তির আগেই হজ নিবন্ধন শেষ করতে হচ্ছে। আগেভাগে নিবন্ধনের তথ্য অনেকে জানেনও না। তাই এবার নিবন্ধনে খুবই ধীরগতি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: