রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে (২১) মে দুপুরে একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সন্দেহক্রমে পুলিশ নিহত কাজী মারুফের স্ত্রী রিনা আক্তার ওরফে উর্মি সহ নয় জনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রী উর্মি স্বীকার করেন যে তার প্রেমিককে নিয়ে স্বামী মারুফ কে হত্যা করে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির জানান, নিহত মারুফ এর স্ত্রী উর্মির সাথে প্রেমিক ইমরানের দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরকীয়ার কারণে স্বামীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী (২১) মে শনিবার রাতে ইমরান ও মারুফ বাহিরে গিয়ে একত্রে মদ পান করে। এরপর রাত দুইটায় মারুফ বাড়িতে আসে। এ সময় তার স্ত্রী উর্মি তরল পানীয় সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান মারুফকে।
মারুফ যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন স্ত্রী তার প্রেমিককে খবর দিয়ে ভোর ছয়টার দিকে তারা দুজন মিলে শক্ত হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মারুফ মারা যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় পাশের ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।
এমন তথ্য পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ডিবি দক্ষিণের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ শুভাঢ্যা জোড়া পুকুর পাড় এলাকা থেকে ঘাতক ইমরান (২৬) কে আটক করা হয়।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: