সরকারি নথি চুরির অভিযোগে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। গত সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক রোজিনার পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বেড়িয়ে আসছে রোজিনার ক্যারিয়ারের কালো দিক।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দিয়ে রোজিনার ক্যারিয়ার শুরু। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঙ্গে। পরে তাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম আলোতে যোগ দেন রোজিনা ইসলাম।
বিএনপির সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাথে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সে সুবাদে অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এই সাংবাদিক। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের তদবির করতেন এবং অবৈধভাবে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন বলে জানা যায়। ক্ষমতার জোরে পূর্বাচলে ৫ কাঠার জমির মালিক রোজিনা।
রোজিনা ইসলামের “মন্ত্রীর দুর্নীতির কারণেই আটকে গেলো পদ্মা সেতু” শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কারণেই বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ হয় সাথে মন্ত্রীর পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দুর্নীতি ছিল না। এতেই রোজিনার অপসাংবাদিকতার চিত্র স্পষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। যান চলাচল শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
রোজিনা তার সাংবাদিকতার যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দিতে অবৈধভাবে সহযোগিতা করেছন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠুকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু ১৯৯১ সালে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা অভি গ্রুপের ক্যাডার ছিলেন। ৪০ কোটি টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় দেখিয়ে ইউএসএতে বিজনেস ভিসা নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনও করেছিলেন।
রোজিনা ইসলাম সদ্য সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের সাথে সখ্যতা স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং বাণিজ্য শুরু করেন। শোনা যায়, বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবকে কোন ভাবেই বাগে আনতে পারছিলেন না রোজিনা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: