কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব চড়াইল এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে মুক্তা নামের এক নারী দীর্ঘদিন যাবত মানবপাচার, মাদক বিক্রিসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে, গত ০৬/০৫/২১ ইং তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে তথ্যটি সঠিক কিনা অনুসন্ধান করতে সরেজমিন যান এশিয়ান টেলিভিশনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অপরাধীরা।
এ ঘটনায় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আমলী আদালতে) ৪ জনকে আসামী ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত নামায় ৪২৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার – ৩৭৮/২০২১। আসামিরা হলেন ১) মুক্তা আক্তার, ২) শহিদুল হাওলাদার ৩) রফিকুল ইসলাম, ৪) শুভ।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে মুক্তা আক্তারের নামে দীর্ঘ চার মাস আগে ০৯/০১/২১ ইং তারিখে ২৯০ ধারায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নন এফ আই আর প্রসিকিউশন মামলা হয়েছিল । অনুসন্ধানকালে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখতে পেয়ে মুক্তা আক্তার নামের ওই নারী, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সনের উপরে হামলা করে কিল ঘুষি লাথি মেরে জখম করে। ক্যামেরা ভাঙচুর, করে স্বামী শহিদুল হাওলাদার, বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম ও ছোট ছেলে শুভ হাওলাদসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ান টেলিভিশন এর প্রতিনিধি শেখ ফরিদ নিজেকে রক্ষার জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কাজি মাইনুল ইসলামকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে মুক্তা আক্তার ও হামলাকারী সন্ত্রাসী বাহিনীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই মুক্তা আক্তার আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ হাউসিং এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপকর্মের ব্যবসা বাণিজ্য করতো। গোপন সংবাদের সূত্র অনুযায়ী গত চার মাস আগে আমরা নয়জনকে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করেছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: