দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার নির্বাচন পর্যন্ত শুধু রুটিন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ সময়ে সরকার কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপরে নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না সেসব নির্বাচন কমিশন করবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
‘আর গণতন্ত্রে মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
রুটিন কাজের ব্যাখ্যায় আনিসুল হক বলেন, ‘গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।’
একই সঙ্গে আরও বলেন, ‘তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না, কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ আমরা করব না।’
এ সময়ে আইন হবে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না, এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে, অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে কোনো বিশেষ কারণে, বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।’
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরাও থাকবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে না, ম্যাজিস্ট্রেটরাও না। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা বলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।’
এখন পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় না কি নির্বাচন কমিশন চালাবে? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটি হচ্ছে, যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, সেটা যৌক্তিক হলে নির্বাচন কমিশন সেটা করবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: