কেরানীগঞ্জের তালা বদ্ধ ঘর থেকে একজনের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মানিক বাদী হয়ে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছেন বলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান।
সোমবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা ইউনিয়নের নজরগঞ্জ এলাকায় জনৈক হাজী আবুল হোসেন এর ভাড়া বাসার ৬ তালায় ছেলেদের মেসে তালাবদ্ধ একটি রুম থেকে অর্ধগলিত নারীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন জানান, মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা তার বাচ্চার টিকা কার্ডের ঠিকানা ধরে মহিলাটির পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। নিহত শিউলি বয়স আনুমানিক ৩০, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাছিরের স্ত্রী। রাজধানীর রামপুরার ঝিলকাননে স্বামী স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে জনৈক আমান উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
তিনি এক বাচ্চার মা ও দুই মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ছিলো। ঈদের দুই দিন আগে তার স্বামী বাচ্চাকে নিয়ে গ্রামের বাসায় যায় এবং মহিলাটির শহরে থেকে যায়। এরপর ঈদের আগের দিন মহিলাটি তার বাসা থেকে নিখোঁজ হয়।
এসআই হাবিবুর জানান, সোমবার রাতে বাড়ির লোকজন ওই তালাবন্ধ কক্ষ থেকে অনেক দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ওই নারীর গলায় গামছা পেচানো মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশটিতে পচন ধরেছে জানিয়ে হাবিবুর বলেন, ৩ থেকে ৪ দিন আগে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী ও ভাই থানায় এসেছে। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক জানান, যে কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একাধিক ব্যক্তি থাকত।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে ও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: