নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
রোববার (১৬ মে) ভোরে আলোকবালির মুরাদনগর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘনার পর থেকে ওই এলাকা থমথমে বিরাজ করছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ ও আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে গুরুত্বর আহত গুলিবিদ্ধ সজল ইসলাম টুকুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালি এলাকার রায়হান মেম্বার ও আসাদুল্লাহ সর্মথকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গতকাল শনিবার বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়। এরই জের ধরে আজ ভোরে দুই গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন রায়হান মেম্বারের সমর্থক সজল ইসলাম টুকু ও মুরাদ মিয়া।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে তাদেরকে নিয়ে আসেন। সংর্ঘষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আলোকবালির বীরগাও এলাকার আব্দুল রহিম মিয়ার ছেলে সজল ইসলাম টুকু (৩৮), মুরাদনগর এলাকার মোখলেস মিয়ার ছেলে মুরাদ মিয়া (১৮)। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন।
নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার চৌধুরী দত্ত সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: