"পর পর দুটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনাকে আমরা মোটেও স্বাভাবিক মনে করছি না। তবে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছেনা। এর আগে তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিল তাতে আমরা দেখলাম মশার কয়েল বা সিগারেটের আগুন থেকে। তবে বঙ্গবাজার এবং নিউমার্কেটের আগুন লাগার সময় একই।" গণমাধ্যমে এসব কথা বলছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, তবে আমি মনে করছি না এটা কোনো ষড়যন্ত্র। তার পরও তদন্ত কমিটি হবে, তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে।
তিনি বলেন, আমাদের কপাল পুড়ছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। ঈদের আগে বঙ্গবাজারের পর রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগায় সারা দেশের ঈদবাজার শেষ হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আতঙ্ক নিয়ে, সন্দেহ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের ঘটনায় শুধু নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা নন, সারা দেশে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই আমাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনা সারাদেশের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে পুরো ঈদবাজারকে চরম ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। পর পর দুটি ঘটনা আমাদের চরম ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিল।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, এই আগুনের ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই অনুমান করা সম্ভব না।
এর আগে শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউমার্কেটের নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৪৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর পর একে একে ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেখানে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরাও।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপনে সময় লাগবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: