প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দিয়ে যথেষ্ট দয়া দেখানো হয়েছে, আর দয়া দেখানো সম্ভব না। তাহলে জেলে থাকা সাজা প্রাপ্ত সব আসামিই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইবে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা শোক দিবস স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেকে শেখ মনির দুই ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব বোমাবাজির সঙ্গেই বিএনপি জড়িত। আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২১ আগস্টসহ বারবার তাকেও হত্যা চেষ্টা করেছে বিএনপি। তবুও তিনি খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বাসায় থাকতে দিয়ে দয়া দেখিয়েছেন। বিদেশে চিকিৎসা করানোর মতো দয়া দেখানো সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে মানবাধিকার নিয়ে তত্ত্বজ্ঞান দেয়। কিন্তু ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর মানবাধিকার কোথায় ছিলো।
নারী শিশুসহ জাতির পিতার পরিবার ১৮ জন সদস্যকে হত্যার ঘটনাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যার পর খুনিদের পুরস্কৃত করা ও আইন করে বিচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জিয়াউর রহমান ও খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি ও সংসদ সদস্য বানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এজন্য সবাইকে অপচয় রোধ ও সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ খুব সহজেই হয়তো এই যুদ্ধ থামবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত, উত্তরের সহ-সভাপতি সাদেক খান, এম এ কাদের খান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: