বিতর্ক যেনো পিছুই ছাড়ছে না বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের। সম্প্রতি গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া'র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর থেকেই নতুন করে সমালোচনায় আসেন বসুন্ধরার এমডি আনভীর। দেশব্যাপী সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি।
একে একে তার বিপক্ষে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেড-এর অনেকেই রয়েছেন। রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও।
সম্প্রতি আরও একজন সাংবাদিক এমন অভিযোগ করে ফেসবুকে স্টেটাস দিয়েছেন। ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের ফেসবুক গ্রুপ, "Our Media, Our Right" নামক ফেসবুক গ্রুপে ওই সাংবাদিক তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করেন। ২০১৮ সালে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের দৈনিক পত্রিকা "কালের কণ্ঠ" থেকে ইস্তফা দেন। সেখানে তার সাড়ে আট বছরের পাওনা বকেয়া রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফেসবুক স্টেটাসে তিনি কালের কণ্ঠের একজন সম্পাদকের নামও উল্লেখ করেন যার কাছে তিনি পাওনার জন্য গেলেও কাজ হয় নি। শেষে সেই সম্পাদককেও কালের কণ্ঠ থেকে করুনভাবে বিদায় নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগকারী উক্ত সাংবাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস টি পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো-
"বসুন্ধরা গ্রুপের উচিত আমার সহ কালের কণ্ঠের অগণিত সংবাদকর্মীর পাওনা মিটিয়ে দেয়া। আমি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি চাকরি ছেড়ে প্রথম আলোতে জয়েন করি। তারপর গত ডিসেম্বর সেখান থেকে ছেড়ে ফেব্রুয়ারিতে দেশ রূপান্তরে জয়েন করেছি।
বসুন্ধরার সারা শরীর ভরা কলিজা, হাজার কোটি টাকার মালিক থাকার পরও সাড়ে আট বছরের চাকরির পাওনা তারা আমাকে দেয় নি। টাকাগুলো ব্যাংকে থাকলে ইন্টারেস্ট বাড়ত, আর যদি কখনো দেয় মূল্যস্ফিতির হিসাবে টাকা নাই হয়ে যাবে। তবে আমার ধারনা বসুন্ধরা আমাকে পাওনা দেবেনা। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আপনারা গর্ভবতী হন, বাচ্চা পয়দা করেন কোনো আপত্তি নেই। আমার মত যারা টাকা পাবে তাদের পাওনা দিয়ে দেন।
এর আগে কালের কণ্ঠের ভারপ্তাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামালের কাছে পাওনা চাইলে তিনি তাইরে নাইরে করতেন। কামাল ভাইকে কিন্তু ইজ্জত হারায়া কালের কণ্ঠ থেকে বিদায় নিতে হইছে। ফলে যারা এখন ফাল পাড়ছেন তাদের ইজ্জতের দশা আরো খারাপ হতে পারে। অন্তত ইতিহাস তাই বলছে।
শ্রমিকের পাওনা শ্রমিককে বুঝিয়ে দেন।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: