চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১৪২ জন নতুন আক্রান্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে আরো ১৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫০ হাজার ৬২০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪০ হাজার ৫৪৯ ও গ্রামের ১০ হাজার ৭১ জন। গতকাল শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১৩ ও সাত উপজেলার ২৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৮, ফটিকছড়িতে ৭, সীতাকুণ্ডে ৫, রাউজানে ৪, মিরসরাই ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং পটিয়ায় ১ জন।
গতকাল শহরের ৪ জন ও গ্রামের একজন করোনায় মারা যান। এ মাসের ৪ দিনে ২১ জন মারা গেলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৪৫ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪০৪ ও গ্রামের ১৪১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৭৭ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৮৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫ হাজার ১৭৫ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩১ হাজার ৬১০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন। ছাড়পত্র নেন ২২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৫১২ জন।
উল্লেখ্য, জেলায় গতকালের ৫ জনসহ এ মাসের চার দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১ ব্যক্তি মারা যান। এর মধ্যে ২ মে সর্বোচ্চ ৭ জন মারা যান। তবে প্রথম দু’দিন কম নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম ছিল। প্রথম দিন সংক্রমণ হার কিছুটা কমলেও পরের দু’দিন ১৫ শতাংশের বেশি ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ২৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনসহ ১৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪৩ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ জনসহ ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৩ ও গ্রামের ১৪ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩৬টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪টিসহ ১৫টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর চার বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ২১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৪টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ১৬টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ১টিসহ ৫টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১২টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ১৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চমেকে ২৩ দশমিক ৭৭, চবিতে ১৭ দশমিক ৪২, আরটিআরএলে ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, শেভরনে ৭ দশমিক ৯২, ইম্পেরিয়ালে ২৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ দশমিক ৭৮, মেডিকেল সেন্টারে ৪১ দশমিক ৬৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: