মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে নিহত ২৬ জনের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন তাদের আত্মীয়রা।
তারা হলেন--ফরিদপুরের আরজু সরদার ও তার ছেলে ইয়ামিন, মাদারীপুরের তাহের মীর, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাওছার হোসেন ও রুহুল আমিন, তিতাস উপজেলার জিয়াউর রহমান, মুন্সিগঞ্জের সাগর শেখ, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের দেলোয়ার হোসেন, মাদারীপুরের শিবচরের শাহদত হোসেন, বরিশালের আনোয়ার চৌকিদার, নড়াইলের লোহাগড়া থানার জোবায়ের মোল্লা, মাদারীপুর সদরের মাওলানা আ. আহাদ, খুলনার তেরখাদার হিনা বেগম, মনির মিয়া, তাদের সন্তান রুমি আক্তার, সুমি আক্তার, মাদারীপুরের হাসান মোল্লা, ঝালকাঠির নলছিটির এস এম নাসিরউদ্দিন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার এলাকার জনি অধিকারী।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সকালে আলো কম থাকায় চালকের অদক্ষতায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এদিকে উল্টে যাওয়া স্পিডবোটটির কোনো নিবন্ধন এবং চালক শাহ আলমের দক্ষতার সার্টিফিকেটও ছিল না বলে শিমুলিয়ার নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উল্টে যাওয়া স্পিডবোটটির নিবন্ধন ছিল না। চালকের যোগ্যতা সনদও নেই। এ নৌ রুটের সব বোটের একই অবস্থা।’
তিনি জানান, স্পিডবোটটি কোথা থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল, নৌ-পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারেনি। চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে গত এক মাসে শিমুলিয়া ঘাটে স্থানীয় প্রশাসন কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যেসব স্পিডবোট চলাচল করে সেগুলো নিবন্ধিত নয় বলে জানান তিনি।
মো. শাহাদাত হোসেন আরও জানান, তাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায়, স্পিডবোট সংক্রান্ত নির্দেশনা নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়।
এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য চালকের অদক্ষতাকে দায়ী করেছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার আশরাফ হোসেন জানান, স্পিডবোটটির মালিক লৌহজং উপজেলার চান্দু মিয়াঁ।
সিটি/আরএইচএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: