বিগত অর্ধশতাব্দীর রেকর্ড ভঙ্গ করা এমন আকস্মিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টিই এই বন্যার কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানবিক বিপর্যয়ে রয়েছে জেলা দুটি। এই মুহূর্তে যেমন তাদের খাবার প্রয়োজন সাথে প্রয়োজন দুর্যোগ মোকাবেলায় পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ম্যাচ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য।
এমন অবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধি টিম সিলেট ও সুনামগঞ্জের বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও জরুরি ঔষধপত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও শনিবার ভোর থেকেই বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের কাজে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ, প্যাকেজিং ও বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ সবই নিজ হাতে করছেন। জানা যায় সনজিত চন্দ্র দাস নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতেই পছন্দ করেন। নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়ার চেয়ে সেই কাজ নিজে সম্পন্ন করাকেই তিনি বেশি প্রাধান্য দেন।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারীদের মধ্যে একজন সময় ট্রিবিউনকে জানায়, আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার বানভাসী মানু্ষের মাঝে পৌঁছে দিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার বন্যার্ত মানুষের কাছে যাই। সেখানে ডিঙি নৌকায় ভাসতে থাকা বা কোনোমতে ভিটে বাঁচানো পরিবার বা সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষদের হাতে হাতে শুকনো ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেই।
প্রতিটি প্যাকেটে আছে- ৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিড়া, আধা কেজি মুড়ি, ২ টি কেক/বিস্কিট, দেড় লিটারের পানির বোতল আর মোমবাতি এবং লাইটার।
উদ্যোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে জিনিসপত্র কেনা, প্যাকেটিং এবং সিলেট এসে সবার হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত পুরো দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। সাথে সহোযোগিতায় আছেন ডাকসুর সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স।
এছাড়াও রয়েছেন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী অর্ক সাহা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: