শহীদ জায়া বীরাঙ্গনা অশীতিপর বৃদ্ধা চারুবালার বসবাসের জন্য একটি সেমিপাকা টিনের ঘর দিয়েছে ফরিদপুরের জেলা পুলিশ। ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের পদ্মানদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল রমেশবালা গ্রামে নির্মিত ওই ঘরটি আজ রোববার দুপুরে তাঁর হাতে হস্তান্তর করেন সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।
মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে নিহত হন বীরাঙ্গনা চারুবালার স্বামী চন্দ্রকান্ত বিশ্বাস। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত স্বামীর স্মৃতি বুকে আগলে শহরের টেপাখোলা বাজারে শাকসব্জি বিক্রি করে কোনরকম দিনযাপন করেছেন এই বীরাঙ্গণা। সম্প্রতি জেলার শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান তাঁর দৈন্যদশা জানতে পেরে এই বাড়ি তৈরি করে দেন।
সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এজন্য পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই করোনাকালে পুলিশ সদস্যদের বেতনের টাকা হতে এই শহীদ জায়া বীরাঙ্গনাকে ঘর করে দেয়া হলো। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলেই দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মদের সম্মানিত করা হচ্ছে। এসময় তিনি বীরাঙ্গনা চারুবালাকে নগদ এক লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা, চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকারিয়া হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্যা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মুরাদ, এস এম ফরহাদ, লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এসময় ওই গ্রামে মসজিদের জন্য ২ লাখ টাকা এবং মন্দিরের জন্য ১ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষনা দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ হতে বীরাঙ্গণা চারুবালাকে ২০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষনা দেয়া হয়। এলাকাবাসী তাদের রাস্তাঘাট ও বিদ্যুত সংযোগের জন্য সংসদ সদস্যের প্রতি বিশেষ আবেদন জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: