মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী এপ্রিল মাস জুড়ে কমবেশি বন্ধই ছিলো যানবাহন চলাচল। শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিলো জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন। গত এক মাসে অপেক্ষাকৃত কম যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে অধিকাংশ ঘটেছে দুর্ঘটনা। এরমধ্যে এপ্রিল মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
রোববার (০২ মে) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এপ্রিলে সড়কে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ১১২ জন চালক, ৮২ জন পথচারী, ৩৮ জন নারী, ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৪২টি শিশু।
প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ২২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে, ১৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকে ৫৫টি, নসিমন ও করিমনে ৬৪টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫২টি, প্রাইভেটকারে ৩০টি ও বাসে ২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ এপ্রিল; ওইদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৪ এপ্রিল; ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৬ জন আহত হন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ছিল না। যে যেভাবে পেরেছে বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়েছে। এপ্রিলে দুর্ঘটনার বড় কারণ ছিল এটি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: