বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধে নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।
তিনি বলেন, যদি আমরা কখনো আক্রান্ত হই, তখন নিজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সে কারণে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা নিতে হবে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে আগামীতে বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম যুক্ত হতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রবিদ্যায় প্রশিক্ষিত হতে হবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) যশোরে বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর বহরে গ্রোব জি-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উদ্যোগে দেশেই প্রোটোটাইপ বিমান তৈরির গবেষণা চলছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের বিমান, রাডার যন্ত্রপাতির সুস্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। সম্প্রতি বিমানবাহিনীর উদ্যোগে প্রোটোটাইপ বিমান দেশেই তৈরি করার গবেষণা চলছে। এটা আমাদের আরও আশাবাদী করে তুলেছে।
বিমানবাহিনীতে যুক্ত হলো ১২টি প্রশিক্ষণ বিমান। এ বিমানের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। এটা আমরা জার্মান থেকে সংগ্রহ করেছি। আগামীতে আরও কয়েকটি বিমান বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। সে প্রচেষ্টা চলছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবদান তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, শুধু আমাদের দেশ নয়, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায়ও আমাদের বাহিনী ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বৈমানিকদের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়। আমি চাই আমাদের প্রত্যেক বৈমানিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ পাক। আমি সে বিষয়ে গুরুত্ব দিই।
মহাকাশ গবেষণা, বিমানবাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি আমরা লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং গবেষণা করবে’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: