র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাড়বার আর সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর নিষেধাজ্ঞা দেবে না। অন্য কোথাও এর প্রভাব পড়বে না। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আমরা যে সাড়া পেয়েছি তাতে আর নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কা দেখি না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।
নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি একে 'গোপনীয়' উল্লেখ করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞায় অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেনি। বিরোধী দলের ওপর র্যাবের দমনপীড়নের অভিযোগ সত্য নয়, কারণ নিহতদের অনেকেই আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আইনগত ও কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মিত্রদের কাজে লাগানো হবে।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এই নিষেধাজ্ঞার পর আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাবকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ের ল্যাকোঁয়ারকে চিঠি দেয়।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ অসন্তোষ জানিয়েছে। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে গত ১১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ঢাকার অসন্তোষের কথা জানানো হয়।
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: