মুজিববর্ষকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না রেখে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে জানা ও বুঝার জন্য জন্ম শতবার্ষিকী একটি প্রশংসনিয় উদ্যোগ। তবে এই উদযাপনকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবন্ধ না রেখে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, নীতি ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারে, সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
সন্ধ্যায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যু পর্যায়ক্রমে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান ভুলে যাওয়ার নয়।
স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশত বার্ষিকীর আয়োজনকে মহামিলন হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এ এক অপূর্ব মিলন ক্ষণ।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন ও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন। মুক্তিযুদ্ধ কালে আমি নয় মাস ভারতে অবস্থান কালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অভ্যর্থনা ক্যাম্প স্থাপন করার পাশাপাশি রিফিউজি ক্যাম্পের দেখা শোনারও কাজ করেছি। আমি মুজিব বাহিনীর সাব-সেক্টরের কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। তখন আমি দেখেছি যে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত কীভাবে আমাদের সমর্থন ও সহযোগীতা করেছে।
বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আন্তর্জাতিক সব অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,'আমি আশা করি আচিরেই অমিমাংসিত সব ইস্যুর সুষ্ঠু ও মর্যাদাপূর্ণ নিস্পত্তি হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: