ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ দিনব্যাপী আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে শুক্রবার সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মোদি একথা বলেন।
মোদি বলেন, বাংলাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের উন্নতির জন্য ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে।
বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। মোদি তার বক্তব্যে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি।
বিকাল সাড়ে ৪টায় মোদি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানস্থলে এলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তাকে স্বাগত জানান।
এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিরা মঞ্চে এলে পাঠ করা হয় ধর্মগ্রন্থ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মোদি বলেন, দুই দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী গণতন্ত্র রয়েছে। ৭১ সালের মতো এখনো সমান বিপদও রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে। আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান জরুরি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ভারতে সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতে গিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভারতে গিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের শেখাতে এবং শিখে আসার অনুরোধ করেন মোদি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোদি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শেখ রেহানা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: